শেরপুরে গারো পাহারে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে বনভূমির ভেতর পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা তা ঘিরে বন বিভাগের আপত্তির প্রেক্ষাপটে এলাকা পরিদর্শনে আসেন পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ২৬শে মে ( সোমরার ) নালিতাবাড়ি উপজেলায় দাওধারা-কাটাবন এলাকায় প্রস্তাবিত পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শনে কালে তিনি বলেন বনভূমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কোন সুযোগ নেয়। এখানে হাতির অভয়ারন্য গড়ে তুলা হবে। শেরপুরের গারো পাহাড়সংলগ্ন তিনটি উপজেলার তিনটি রেঞ্জে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে প্রায় ২১ হাজার একর বনভূমি রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ বনভূমি বর্তমানে দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসন এই বনাঞ্চলের ২২৩ একর খাস জমিতে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়, যার মধ্যে ৩২ একর জমি সংরক্ষিত পাথর মহাল হিসেবেও চিহ্নিত। বন বিভাগ এই উদ্যোগে আপত্তি জানালে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরিদর্শনকালে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বনের জমিতে কোনো পর্যটন কেন্দ্র হবে না। ওই এলাকায় হাতির জন্য অভয়ারণ্য গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে। ডিসি বা বনবিভাগ এটা বলে সরকারকে আলাদা করার কোন সুযোগ নেই। তিনি আর ও বলেন বনায়ন ক্ষেত্রে পরিবেশ ও বন বিভাগ একাশি ও আকাশমনি গাছ চরা রোপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই গারো পাহাড়ের এই সকল গাছ গুলো কেটে ফেলা হবে। হাতি মানুষের দন্ধ কমাতে হলে হাতি চলাচলের রাস্তা করতে হবে। অবৈধ বন ভূমি দখলের জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছি ও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তার এই ঘোষণার পরই স্থানীয় লোকজনের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ও অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে প্রশ্ন করায় সেখানকার উপস্থিত আওয়ামীপন্থী দোষররা সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এছাড়া দাওধরা পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষে লোকজন বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। পর্যটন কেন্দ্রের পক্ষে ও বিপক্ষে থাকা দুই পক্ষ উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ শুরু করে। যা এক পর্যায়ে হাতাহাতির রূপ নেয়। এসময়ে এখন টেলিভিশনের প্রতিনিধি জাহিদুল খান সৌরভ,বাংলা টিভির নাঈমসহ বেশ কয়েক জন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।