বিমানবন্দর সড়ক সম্প্রসারণ নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।
বুধবার (২৭ আগস্ট) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় যানজট এড়াতে ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে বিমান বিমানবন্দর সড়কটি প্রশস্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, বন্দর, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, চট্টগ্রাম ড্রাই ডক, সিটি গ্রুপ, সিডিডিএল, রেলওয়ে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব, এসএওসিএল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বিকাশে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত না করে সড়ক উন্নয়ন করা হবে মন্তব্য করে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। বন্দরকে কেন্দ্র করে দেশের অধিকাংশ পণ্য পরিবহন হয়। আগামীতে বন্দরে আরও গাড়ি বাড়বে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তাই বিদ্যমান সড়ক ভবিষ্যতের জন্য যথেষ্ট হবে না। তবে এই সড়কটি এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে যাতে করে বর্তমানে এই সড়কে যত বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের যাতে কার্যক্রমে বেঘাত না ঘটে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কারণ এখানে প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও জনগণের স্বার্থ জড়িত।
মেয়র আরো বলেন, রুবি সিমেস্ট থেকে শুরু করে ড্রাই ডক পর্যন্ত চার লেইনে প্রশস্তকরণের বিষয়ে ২০১৭ সালে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও সে সময় আর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়নি। সময়ের পরিবর্তনে বর্তমানে সড়কের অবকাঠামো অনেকটা পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
সভায় উপস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বলেন, রুবি সিমেস্ট থেকে শুরু করে ড্রাই ডক পর্যন্ত আমাদের যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর যদি একদিন ও কাজ বন্ধ থাকে সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ও জনগণের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হবে। তাছাড়া এই সড়কে যে রেল লাইন রয়েছে এই রেল লাইনে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা অয়েলের অনেক রেলগাড়ি প্রতিনিয়ত চলাচল করে। এতে করে এই সড়কে যানজট লেগে থাকে। এ প্রেক্ষিতে রেল লাইনের উপর ফ্লাইওভার করলে এই সড়ক যোগাযোগের গতি বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি সমস্যারও সমাধান মিলবে। তারা এই সড়ক পাশে যে রেললাইন রয়েছে এই রেললাইনকে কেন্দ্র করে ফ্লাইওভার করার প্রস্তাব দেন।
মেয়র বলেন, সভায় আলোচনার প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী, আর্কিটেক্ট , নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে পরবর্তীতে সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রামকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করতে হলে শুধু সিটি কর্পোরেশন এককভাবে কিছু করতে পারবে না। বড় বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই পাশে থাকতে হবে। আমরা সকলে মিলেই চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।