ভোলা খালের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে জিজেইউএস’র ল্যান্ডিং স্টেশন ও কায়াকিং পয়েন্ট
ভোলা শহরে দৃস্টিনন্দন ভাসমান জিজেইউএস ল্যান্ডিং স্টেশন এন্ড কায়াকিং পয়েন্ট। বিনোদন পিপাসুদের জন্য এক নতুন ঠিকানা। যা ইতোমধ্যে সবার মনে স্থান করে নিয়েছে। বাড়িয়েছে ভোলা খালের সৌন্দর্য। ভ্রমনে নিরাপদ ও শিশুদের কায়াকিং এ যেন স্বপ্নের ঠিকানা।
জানা গেছে, ভোলা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন খালের উপর ভাসমান এ অয়োজন বিনোদনের এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিনোদন পিপাসুরা আপন করে নিয়েছে ল্যান্ডিং স্টেশন ও কায়াকিং পয়েন্টকে। এ ভাসমান পয়েন্টটি থাকার ফলে ভোলার খালটি বর্তমানে অনেকটাই পরিচ্ছন্ন। নির্মল বাতাস নিতে যে কেউ এখানে এলে তার মনের খোরাক মিটে যাবে। নাম মাত্র খরচে শিশুরা কায়াকিং করতে পারে। রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। ঔই এলাকাটি পরিচ্ছন্নতার জন্য রয়েছে একাধিক লোকবল, যারা খাল পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় নিরলশ কাজ করছে। শহরের মধ্যে এমন আয়োজনে স্থানীয়রাসহ সবাই খুশি।
বিকেলে অনেকেই ভির করছে ল্যান্ডিং স্টেশনে ঘুরতে এবং সৌন্দর্য উপভোগ করতে। স্থানীয় দোকানদার খোরশেদ আলম জানান, খালটি আগে ময়লা আবর্জনায় ভরা ছিলো গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা ল্যান্ডিং স্টেশন করার পর থেকে খালটি এখন পরিস্কার হয়েছে। স্থানীয় দোকানীরা আগে খালে ময়লা ফেলতো এখন খালে ময়লা ফেলেনা। গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার স্টাফরা সব সময় পাহারায় থাকে।স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ খোকন জানান, ল্যান্ডিং স্টেশন হওয়াতে তাদের সন্তানেরা কায়াকিং করছে বিনোদন পাচ্ছে। অপরদিকে খালের পানিতে আগে দুর্গন্ধ বের হতো এবং কচুরি পানায় ভরা ছিলো। গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা কায়াকিং চালু করার পর থেকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখায় এখন দুর্গন্ধ নেই খালের পানিতে। প্রতিনিয়ত তাদের কর্মীরা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালাচ্ছে।এ ব্যাপারে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন জানান, ময়লার ভাগারে ভরা খালটিকে আমরা লোকবল দিয়ে পরিস্কার করে দুর্গন্ধ থেকে মুক্ত করতে পেরেছি। প্রতিদিন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলমান। আশপাশের দোকানীরা এখন আর খালে ময়লা ফেলছে না। ল্যান্ডিং স্টেশন ও কায়াকিং ঘিরে প্রতিদিন শত শত বিনোদন প্রেমিরা এসে এখানে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। এটা ভ্রমনের জন্য একটা নতুন পর্যটনের আদলে করা হয়েছে। ভ্রমন ও বিনোদন পিপাসু মানুষের বিনোদনে নতুন দিগন্তের সুচনা করেছে।