বাকৃবিতে বাকপ্রতিবন্ধী রোগীর মুখে ভাষা ফেরানোর থেরাপি

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ২৯ জুলাই , ২০২৫ ১৭:৪০ আপডেট: ২৯ জুলাই , ২০২৫ ১৭:৪০ পিএম
বাকৃবিতে বাকপ্রতিবন্ধী রোগীর মুখে ভাষা ফেরানোর থেরাপি
বাকৃবিতে বাকপ্রতিবন্ধী রোগীর মুখে ভাষা ফেরানোর থেরাপি স্পিচ থেরাপি, বাকহীনের মুখে ফুটল ভাষার ফুল

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অবস্থিত সিআরপি ময়মনসিংহ সেন্টারের স্পিচ থেরাপির মাধ্যমে এক বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মুখে ভাষা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। মাত্র ১২টি সেশনেই চিকিৎসা পেয়েছেন গ্লোবাল অ্যাফেসিয়া, ওরো-ফ্যারিঞ্জয়াল ডিসফ্যাজিয়া ও ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত ৩৫ বছর বয়সী রোগী সুমি।জানা যায়, এক রাতে সন্ত্রাসীদের হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান সুমি। এরপর থেকেই তার বাকশক্তি, গলাধঃকরণ ক্ষমতা এবং ভাষা প্রকাশের সক্ষমতা হারিয়ে যায়। নিউরো-সার্জনরা জানান, তিনি আর কখনোই কথা বলতে পারবেন না।

পরবর্তীতে সুমিকে বাকৃবির সিআরপি ময়মনসিংহ সেন্টারে আনা হলে স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিস্ট সাবরিনা হোসেন তৃষার তত্ত্বাবধানে শুরু হয় থেরাপি। ধাপে ধাপে চিকিৎসা চলাকালীন তিন মাসেই দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যায়।এ বিষয়ে থেরাপিস্ট সাবরিনা হোসেন তৃষা বলেন, “এই পেশাটি আমি বেছে নিয়েছি কারণ এটি অনন্য এবং নতুন। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার সম্ভাবনাই আমাকে সবচেয়ে বেশি উদ্বুদ্ধ করে।”তিনি আরও বলেন, “স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপি বাংলাদেশে এখনও অনেকটাই অজানা একটি ক্ষেত্র। অথচ আমরা যে সমস্যাগুলোর চিকিৎসা করি, কথা বলা, গিলতে পারা, কণ্ঠস্বর, তা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।”তিন মাসের চিকিৎসা শেষে সুমি এখন আবার কথা বলতে পারছেন। প্রথমে ছোট শব্দ, পরে বাক্য, এরপর ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে শুরু করেন তিনি।দেশের আরও অনেক গ্লোবাল অ্যাফেসিয়া বা ডিসফ্যাজিয়া রোগীর জন্য এই ঘটনা অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা শুরু করলে স্পিচ থেরাপির মাধ্যমে অনেকেই সুস্থতা লাভ করতে পারেন।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo