২রা জুন থেকে পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজধানী ঢাকায় কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণে এবারো বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। জামালপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে চলবে তিনটি বিশেষ ক্যাটল ট্রেন। আগামী ২ ও ৩ জুন জেলার ইসলামপুর ও মেলান্দহ রেলস্টেশন থেকে এই ট্রেনগুলোতে গরু পাঠাবেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।শনিবার (৩১ মে) বিকেলে বিষয় নিশ্চিত করেছেন ইসলামপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. শাহিন আলম। জানা যায়, এবার ৬৫ থেকে ৭০টি ওয়াগন প্রস্তুত রাখা হয়েছে গবাদি পশু পরিবহনের জন্য। প্রতিটি ওয়াগনে ১৬টি করে গরু পরিবহন করা যাবে। সব মিলিয়ে প্রায় ১,১২০টি গরু রাজধানী যাবে বলে আশা করছি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ওয়াগনে গরু পরিবহনের পাশাপাশি থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও তদারকির ব্যবস্থা। পশুর সুরক্ষায় রাখা হবে স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতার বিশেষ নজরদারি। ব্যবসায়ীরা স্টেশন থেকেই বুকিং দিতে পারছেন, এবং প্রয়োজনে স্থানীয় রেল কর্মকর্তাদের সহায়তা নিচ্ছেন।
স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ বলেন, ‘ট্রাকে করে গরু ঢাকায় নিতে গিয়ে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। রেলভিত্তিক পরিবহন চালু হওয়ায় আমরা খুশি। এতে খরচ কমছে, সময়ও বাঁচছে।’প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে গবাদি পশুর চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। ঢাকার হাটগুলোতে পশু সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রতিবছরই বিভিন্ন জেলা থেকে বিশেষ ট্রেনের মাধ্যমে গরু আনা হয়। জামালপুর অঞ্চল থেকে এটি বড় একটি উৎস হিসেবে বিবেচিত।জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার জামালপুর জেলার ইসলামপুর, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ী ও সদর উপজেলা থেকে কয়েক হাজার গরু ঢাকায় পাঠানো হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে গরু পাঠানোর সুবিধা থাকায় অধিকাংশ ব্যবসায়ী এ মাধ্যমটিকেই বেছে নিচ্ছেন।এ বিষয়ে ইসলামপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. শাহিন আলম বলেন, আগামী ২ ও ৩ জুন জেলার ইসলামপুর ও মেলান্দহ স্টেশন থেকে ট্রেনে করে এসব গবাদি পশু নিয়ে যাবেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে স্থানীয় পশু ব্যবসায়ীরা বুকিং শুরু করেছেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত স্বল্প খরচে পশু পরিবহনের সুযোগ করে দিয়েছে যাতে ব্যবসায়ীরা সহজেই ঢাকায় পশু নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে পারেন। এ ছাড়া ট্রেনে পশু পরিবহনের ফলে সড়কপথের চাপ ও যানজট কমবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা