পাঁচলাইশ নাছির উদ্দীন কলেজের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডা. শাহাদাত হোসেন

আহমদ উল্লাহ প্রকাশিত: ১৯ জুন , ২০২৫ ১৩:৫৭ আপডেট: ১৯ জুন , ২০২৫ ১৩:৫৭ পিএম
পাঁচলাইশ নাছির উদ্দীন কলেজের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডা. শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ক্যারিয়ার যাই হোক ভালো মানুষ হওয়াই একজন শিক্ষার্থীর মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। যদি একজন ভালো মানুষ হিসেবে আমরা যদি সমাজকে আলোকিত করতে পারি, সেটাই হবে আমাদের জন্য মূখ্য।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা দূর করতে আমি খাল ও নালা পরিষ্কার করছি ঠিকই, কিন্তু স্থায়ী সমাধান তখনই হবে যখন নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে। ময়লা যত্রতত্র না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য আমি স্কুল পর্যায় থেকে শিশুদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কাজ শুরু করেছি।
তিনি বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে অক্সিজেন কুয়াইশ সংযোগ সড়কের নয়াহাট সংলগ্ন পাঁচলাইশ সৈয়দ মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন সিটি কর্পোরেশন মহিলা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা স্কুল হেলথ কার্ড চালু করেছি যাতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি হয়। শুধু দাঁত বা নখ পরিষ্কার রাখাই নয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও যেন তারা ছোটবেলা থেকেই শিখে নেয়।
মেয়র বলেন, আজকের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলছি, স্কুল ও কলেজ জীবনের শিক্ষাই ভবিষ্যতের ভিত্তি। ভবিষ্যতের যেকোনো ভূমিকায় ভালো মানুষ না হলে সে অর্জনের কোনো মূল্য নেই। তাই ভালো মানুষ হয়ে সমাজকে আলোকিত করতে হবে।
শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে নাগরিকদের সচেতনতাকে প্রধান শর্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই শহর শুধু আমার একার না, আমাদের সবার। সবাই মিলে যদি কাজ করি তবে এই শহরকে গ্রীন, ক্লিন, হেলদি এবং সেফ সিটিতে পরিণত করা সম্ভব।
জলাবদ্ধতা বিষয়ে মেয়র বলেন, আমি প্রতিটি খালের উৎস ও গন্তব্য নিয়ে স্টাডি করছি। রাতারাতি সমাধান হবে না, তবে ইনশাআল্লাহ দুই তিন বছরের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে। কারণ আমি সমস্যার শিকড়ে হাত দিচ্ছি।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এমনকি নার্সিং করা স্যার ম্যাডামদের ভুলে গেলে চলবে না। শিকড়কে মনে রাখতে হবে, তবেই শিক্ষা সার্থক হবে। 
শেষে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে পুরস্কার তুলে দেন এবং যারা পুরস্কার পায়নি তাদের আগামীতে ভালো করার প্রত্যয় নেওয়ার আহ্বান জানান।চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা, উপসচিব ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে ও কলেজের প্রভাষক শিবু চন্দ্র দাস এবং ফারহানা আজিজের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস জারেকা বেগম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কলেজ গভর্নিং বডির শিক্ষানুরাগী সদস্য জি এম আইয়ুব খান, রাজনীতিবিদ শামসুল আলম, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা নাছির উদ্দীনের সন্তান ও দাতা সদস্য এস এম ফজলুল বারি, কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ জয়নব বেগম। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন তাবাচ্চুম রশিদ তাসমি, হুমায়রা পারভীন মাহি, মানপত্র পাঠ করেন সাবরা সুলতানা, কোরান তেলোয়াত করেন খাদিজাতুল কোবরা, গীতা পাঠ করেন ইতু নন্দী। 


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo