একজন সফল ও জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাঈদুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট , ২০২৫ ১৫:৩৯ আপডেট: ২৪ আগস্ট , ২০২৫ ১৫:৩৯ পিএম
একজন সফল ও জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাঈদুল ইসলাম

মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশে সত্য ও মিথ্যার মধ্যে লড়াই হয়েছে প্রতিনিয়িত। সত্য ও মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায়ের দ্বন্দ্ব পৃথিবী জুড়ে। সত্য-মিথ্যার লড়াই ও দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে শেষে সত্যেরই জয় হয়েছে। আমরা জানি , সত্য ও মিথ্যা এই দুই বিপরীত শক্তির মধ্য দিয়ে মানুষকে পথ চলতে হয়। সত্যের শক্তি মানুষকে সৎ, নির্লোভ ত্যাগী জীবনের দিকে ধাবিত করে। মিথ্যার শক্তি মানুষকে নিয়ে যায় লালসা, পরিভোগ ও স্বার্থপরতার দিকে। সত্য পথের পথিককে বলা হয় সৎ এবং সৎ গুণকে বলা হয় সততা। আজকের দুনিয়ায় মানুষ সততা ও অসততার দ্বন্দ্বে দোদুল্যমান। যখন সততার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হওয়ার লক্ষণ মানুষের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় তখন সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা জরুরী প্রয়োজন। ঠিক সেই ধারণা থেকেই কটিয়াদী উপজেলার একজন সৎ ন্যায়পরায়ণ নির্বাহী অফিসার মো. মাঈদুল ইসলাম তার কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতায় বদলে দিচ্ছেন কটিয়াদী উপজেলার পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান।
‘প্রতিভা কোনো সীমাবদ্ধ সিদ্ধিতে সন্তুষ্ট থাকে না, অসন্তোষই তার জয়যাত্রা পথের সারথি’ বলেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সারাদেশেই যখন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে জনগণের রয়েছে অনেক অভিযোগ। এর মধ্যে ব্যতিক্রমী ভূমিকা পালন করছেন জনবান্ধব, পরিশ্রমী কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাঈদুল ইসলাম।কটিয়াদী উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। কটিয়াদী উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছেন তিনি। জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার সৎ জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
উপজেলার যেকোনো অবৈধ ও অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার। তিনি কোনো অভিযোগ পেলে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন। তা ছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
এছাড়াও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবা, সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারিভাবে ঘর নির্মাণ এবং বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বা সরকারি দান-অনুদান সরেজমিন পরিদর্শন করে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি সর্বদা ছুটে বেড়ান উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন আর পৌরসভায়। ক্লান্তিবোধ হয়তো তাড়া করেনা তাকে। ইভটিজার,পারিবারিক জটিলতায় কিংবা বাল্য বিবাহে ছাড় নেই তার। উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্যবর্ধন, আগত সেবা প্রত্যাশীদের যথাযথ সেবা নিশ্চিতকরণ, উপজেলা পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম দক্ষতার সঙ্গে তদারকি, উপজেলায় চারপাশে চলার পথ ও দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন কাজও করেছেন তিনি। শিক্ষাবান্ধব ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সময় পরিদর্শন করেন। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের গুণগত এবং লেখাপড়ার জন্য মানসম্মত বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলার নানা কার্যক্রম করেছেন ইতোমধ্যে। কখনো কলেজ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয়ে ইউএনওর ঝটিকা অভিযানের ফলে নিয়ম মাফিক চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম। বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন করেছেন জমকালো ভাবে। যা ইতিপূর্বে কটিয়াদী উপজেলাবাসী খুব কমই দেখেছেন। তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের 'আইডল' হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন ইতোমধ্যেই।
মাদকমুক্ত উপজেলা গড়তে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনও করেন তিনি। যোগদানের পরেই প্রতিটি ইউনিয়নের দরিদ্রদের মাঝে চাউল বিতরণের তালিকায় অনিয়ম দেখে চাল বিতরণ না বন্ধ করে দেন তিনি। পরবর্তীতে তালিকা যাচাই বাছাই করে সঠিক তালিকা প্রণয়ন এবং অনিয়ম বন্ধ করে স্বচ্ছতার সাথে তাদের মাঝে চাল বিতরণ নিশ্চিত করেন। একি সাথে ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের তালিকা যাচাই-বাছাই করে ভুয়া কার্ড সনাক্ত করে সে সকল কার্ড বাতিলের ব্যবস্থা করেন এবং টিসিবি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চলমান অনিয়ম বন্ধ করে দেন তিনি। বিএডিসি'র সেচ লাইসেন্স প্রদানে দীর্ঘদিন ধরে চলমান সিন্ডিকেটের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করে হয়রানিমুক্তভাবে শুধুমাত্র সরকারি ফি'তে লাইসেন্স প্রদান নিশ্চিত করেন।
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন সংক্রান্ত যে কোন সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি ফি'র অতিরিক্ত অর্থ নেয়া বন্ধ করতেও ভূমিকা রয়েছে তার। তাছাড়া জরুরি জন্মনিবন্ধন সংশোধনের প্রয়োজনে কেউ তার কাছে গেলেই তিনি তৎক্ষনাৎ তা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করেন। সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ইউএনও। 
অবৈধভাবে বালি উত্তোলন ও মাটি কাটা বন্ধেও রয়েছে ইউএনও খবরদাবি। খবর পেলেই তৎক্ষনাৎ তা বন্ধ করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে।  
সাধারণ মানুষ যে কোন সমস্যা নিয়ে তার কাছে গেলেই তিনি সকলের কথা শুনে হাসিমুখে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেন। এতেই সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন ইউএনও। দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে সম্মান ও বিশ্বাস অর্জন করেছেন অল্প সময়েই। প্রশাসনিক নানা উদ্যোগের পাশাপাশি অনেক সময় ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং নিজের অর্থে পাশে থেকেছেন অনেকের। অনেক শিক্ষার্থীকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করে লেখাপড়া করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন তিনি। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে বিভিন্ন সময় হুইলচেয়ার সহ বিভিন্ন উপকরণ প্রদানের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও প্রসংসনীয় কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে চলেছেন।
ইউএনও’র এসব সাফল্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কটিয়াদী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের একজন উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীল প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং মানবসেবক হিসেবে ইউএনও স্যার অসাধারণ একজন মানুষ। সরকারের অর্পিত প্রতিটি দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সাথে তিনি সঠিক ভাবে পালন করেছেন। তার ভালোবাসা এবং সততায় কটিয়াদীর আপামর জনসাধারণ মুগ্ধ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাঈদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সব সময় চেষ্টা করি মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের।’
তিনি আরও বলেন, যতদিন কটিয়াদী উপজেলায় আছি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাব। সর্বোপরি দায়িত্ব পালনে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চান তিনি।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার একজন সৎ ও ক্লিন ইমেজের মানুষ। তাকে কোন দুর্নীতি স্পর্শ করতে পারেনি, তিনি সবসময় সমাজের অনিয়ম, দূর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছেন। এসব কারণেই একটি অসাধু মহল সাম্প্রতিক সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীটি এসব করে কটিয়াদী উন্নয়ন কাজকে মূলত বাঁধা গ্রস্থ করছেন। তিনি এসব অসাধু মহলের অপপ্রচারে মোটেও বিচলিত নন বলে জানিয়েছেন।
কটিয়াদী উপজেলার বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাঈদুল ইসলাম একজন বিসিএস ৩৬ তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ২০২৪ সালের ১৩ নভেম্বর বর্তমান কর্মস্থলে যোগদান করেন। তিনি এই উপজেলা প্রশাসনকে জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে দলমত নির্বিশেষে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও ভালোবাসায় একটি আধুনিক উপজেলা বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo