উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তার পদচ্যুত করে ওএসডি,নারী কেলেংকারী ঘটনা ফাঁস

মোঃ জাহিদুল ইসলাম প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট , ২০২৫ ১৬:১৩ আপডেট: ১৯ আগস্ট , ২০২৫ ১৬:১৩ পিএম
উচ্চ পদস্থ  সরকারী কর্মকর্তার পদচ্যুত করে ওএসডি,নারী কেলেংকারী ঘটনা ফাঁস
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক এর পরিচালক (প্রশাসন) বর্তমানে নারি কেলেঙ্কারিতে ওএসডি, কাজী মাহবুবুর রশিদ তার পরিচিতি নম্বর ১৫৫২৮।

   কাজী মাহবুবুর রশিদ এর গ্রামের বাড়ী নীলফামারি জেলা সদরের কাজীপাড়ায় । তার পিতার নাম তৈয়োবুর রহমান, মাতা মনিজা বেগম। তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে মুজিব কর্নার সহ আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠান কর্মকান্ডে অতি উৎসাহী হয়ে দিবস পালন করে। উল্লেখ্য যে, তার ভাই কাজী মামুন নীলফামারী শহরের একটি ওয়ার্ডের  আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির  সাধারণ সম্পাদক।  কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক এর অধীনে কাজী মাহবুবুর রশিদ  ক্যাডার পদে চাকুরির সুবাদে  গোপালগঞ্জে অবস্থান  করেন দীর্ঘদিন যাবত। সেখানে তিনি বিভিন্ন নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ইমরান নামক এক পিওনের স্ত্রী ২সন্তানের জননী হামিদা হোসেন লাভলীকে নিজের স্ত্রীর মত ব্যবহার করতে থাকে। একবধু ২ স্বামীর পরকীয়া প্রেমের ঘটনা এলাকায় ফাঁস হয়। এদিকে কাজী মাহবুবুর রশিদ তারই ফুফাতো বোন কে ১ম স্ত্রী হিসেবে বিবাহ করে। তার ঔরসে ২পুত্র ১কন্যা সন্তান আছে। বর্তমানে ১ম স্ত্রী শারিরীক দুর্বল ও অক্ষম। এরই প্রেক্ষিতে কাজী মাহবুবুর রশিদ সে গোপালগঞ্জের ইমরান হোসেনের  স্ত্রী হামিদা হোসেন লাভলীকে রক্ষিতা স্ত্রী হিসেবে  মেলামেশা করতে  থাকে। সবকিছু গোপন রেখে আর একটি ২য় বিয়ে করে এবং ২য় স্ত্রীকে সামাজিক মর্যাদা না দিয়ে গোপনে রাখার চেষ্টা করে কাজী মাহবুবুর রশিদ। ২য় স্ত্রী সামাজিক মর্যাদা চাইলে শুরু করে বর্বরোচিত শারীরিক  ও মানসিক নির্যাতন। কাজী মাহবুবুর রশিদ এর নারী কেলেংকারী ও অনৈতিকতা ক্রমে জানাজানি হলে সাংবাদিকরা বিভিন্ন পোর্টালে ও ফেইসবুক পেজে এবং অনলাইন মিডিয়ায় ছবি সহ সংবাদ প্রকাশ করে কাজী মাহবুবুর রশিদ এর নারী কেলেংকারী ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়ে। 
কাজী মাহবুবুর রশিদ ঘরের স্ত্রীদেরকে সময় না দিয়ে তিনি পার্সোনাল গাড়ি ব্যবহার করে সেই পরকীয়ার সাথে রাত কাটায় গোপালগঞ্জে গিয়ে। স্ত্রীদের কাছে কাজী মাহবুবুর রশিদ এর অনৈতিকা ও লুচুপনা ফাঁস হলে তিনি ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পিওন ইমরানের স্ত্রী হামিদা হোসেন  লাভলীকে সে এবং কাজী মাহবুবুর রশিদ উভয় যোগসাজশে নীলফামারিতে ভূয়া কাজীর মাধ্যমে  হামিদা হোসেন লাভলী কতৃক ভূয়া তালাক নামা তৈরি করে এবং পরে  ভূয়া কাবিন নামা তৈরি করে  হামিদা হোসেন লাভলীকে স্ত্রী হিসেবে প্রচার করতে থাকে। কিন্তু হামিদা হোসেন লাভলী বর্তমানেও পিওন ইমরানের স্ত্রী হিসেবে সংসার করছে। এলাকাবাসী বাস্তবতার সুত্রে জানায়। ঘটনা তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা ফাঁস হবে। এ ব্যাপারে ২য় স্ত্রী কাজী মাহবুবুর রশিদ এর শাস্তি দাবি করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে।চাকরির বিধি লংঘন করার দায়ে কাজী মাহবুবুর রশিদ গত ৮ জুলাই ওএসডি হয়। তিনি গত ৮জুলাইয়ের পুর্বে পদোন্নতি  প্রাপ্তী অবস্থায় স্ত্রীদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে আসছিল এবং ২য় স্ত্রীকে প্রাননাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দিয়ে আসছিল। 
এছাড়াও কাজী মাহবুবুর রশিদ প্রাধিকার প্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সরকার প্রদত্ত সুদমুক্ত গাড়ি ঋণ সুবিধা গ্রহণকারী ব্যক্তি। গাড়ী সেবা নগদায়ন নীতিমালা ২০২০(সংশোধিত) এর ধারা-২ উপধারা( ঘ) এর বিধান মতে "গাড়ী রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়" অর্থ এ নীতিমালার আওতায় সুদমুক্ত ঋণের অর্থে ক্রয়কৃত গাড়ির মেরামত,সংরক্ষণ জ্বালানি, ড্রাইভারের বেতন বীমা ফিটনেস, নবায়ন কর অন্যান্য ফি বাবদ প্রদেয় মাসিক রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাবদ প্রতিমাসে ২৫ হাজার টাকার স্হলে কাজী মাহবুবুর রশিদ প্রতিমাসে অনিয়ম করে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে অতিরিক্ত ২৫ হাজার প্রতিমাসে আত্মসাৎ করে আসছিল। 
দাবি উঠেছে, এই নারী কেলেংকারী ও  অনৈতিক কার্য্যকলাপে জড়িত এবং সরকারি গাড়ি ব্যবহার বিধি লংঘন করা ঐ কর্মকর্তার  ঘটনার তদন্ত পুর্বক শাস্তির ব্যবস্থার ।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo