সদর উপজেলা প্রতিনিধি (যশোর)
তাদের সাথে শিক্ষার্থীদের এ কাজে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা জানান ট্রাফিক পুলিশ কাজে যোগ দিয়েছেন। একারণে আজকে দুপুরের পরে আমাদের আর এ দায়িত্ব পালন করতে হবে না। বিএনসিসির সুন্দরবন রেজিমেন্ট কমান্ডার লে. কর্নেল কামরুল ইসলাম জানান, যে জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ থাকবে না, সেখানে বিএনসিসি, ক্যাডেটের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এখনো সেটি পরিদর্শন করা হয়নি। পরিদর্শন না করে এ বিষয়ে কোনো কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসনের ‘ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা কমিটি’।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন। গণসমাবেশে বক্তারা বলেন, শত শত জনতা শিক্ষার্থীর রক্তের বিনিমিয়ে দেশে স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে। এখন সময় দেশ গড়ার। এখন সময় সাম্য, সামাজিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচারভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণের।
নিহতরা হলেন চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বাদিয়াটোলা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার আব্দুল খালেক মন্ডলের ছেলে কুয়েত প্রবাসী মেহের আলী (৪০) ও নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের মোদাচে্ছর হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন মিঠু (৩৩)।
রক্ত ঝরেছে হাজারো শিক্ষার্থীর। যাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে এই বিজয় এসেছে তাদের যশোরের শিক্ষার্থীরা ভুলে যাননি। সড়কের পাশের দেয়ালে চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে তাদের স্মৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বিবর্ণ অতীত মুছে দেয়ালে দেয়ালে স্বপ্নলিপি আঁকছেন তারা।
সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে এ পদযাত্রার আয়োজন করে যশোর জেলা প্রশাসন।সম্প্রীতি পদযাত্রা কালেক্টরেট চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কালেক্টরেট চত্বরে এসে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন যশোরের ব্যান্ড সমন্বয় নামের একটি সংগঠন। সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনার চত্ত্বরে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সকলকে মোমবাতি দেওয়া হয়। এদিকে মোমবাতি প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে সকল ছাত্র-জনতা ছোট বড় পাতাকা হাতে ও কালো পোশাক পরিধান করে আসেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, মানুষের মাঝ থেকে আতঙ্ক দূর করে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি মসজিদের মাইক থেকে আহবান জানানো হবে। প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সব দলের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করেছেন। সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে বৈষম্য দূর করতে সবাইকে সমানভাবে দেখতে হবে।