ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের নিরাপদ আশ্রয়স্থল নদী,নোনা ও খাল-বিল । দেশীয় মছের শত্রু চায়নাদুয়ারী জাল বা ট্রেন জাল, শয়তানজাল, ঘাতক জাল দিয়ে বর্তমান বর্ষার প্রাক্কালে মাছের ব্রিডিং সিজনে ফাঁদ পদ্ধতিতে ডিম ওয়ালা মাছ ও পোনা ধরে বাজারে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। এই নিষিদ্ধ জাল কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঠাকুরগাঁও জেলার ঐতিহাসিক হাটগুলোতে মঙ্গলবার যাদুরানী ও শনিবার কাতিহার ও রবিবার নেকমরদে চায়নাদুয়ারি(শয়তান/ঘাতক) জাল ও কারেন্ট জাল দেদারসে বিক্রি করছে। এসব জাল বিক্রি রোধ করতে না পারলে জেলার বিভিন্ন ডোবা, নদী, নালা-খাল ও বিলের দেশি বা পোনা মাছ প্রজনন ধংস হয়ে যাবে। এসব জাল জব্দ কিংবা নিধন করা অতীব জরুরী। জেলা ও উপজেলার প্রশাসন কঠোরভাবে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন হাটবাজারে এসব জাল বিক্রেতাদের ধরা,জাল জব্দ ও নিধন অভিযান অতীব জরুরি । অপরদিকে হরিপুর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের এ ব্যপারে মোটেও কোন প্রদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাহলে কি উপজেলা প্রশাসনের উদাসিনতা কিংবা সময়ের অজুহাতে দেশীয় বিভিন্ন জাতের ছোট মাছ জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী দেশি মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে ? এখনো খাল, বিল, নদী, নোনা, সব জায়গায় এই শয়তান জাল / চায়নাদুয়ারী জাল পানিতে ফাঁদ পাততে দেখতে পাওয়া যায়। তবে মৎস অধিদপ্তরের লোকবলের চোখে পড়েই না।জাল হাটে বিক্রি বা পানিতে ফাঁদ পদ্ধতিতে মাছ বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা না করলে হয়তো দেশীয় মাছের প্রজনন ধংসই হয়ে যাবে। এভাবেই চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যে দেশীয় প্রজাতির মাছ বাজারে চোখেই পড়বে না। সুধীমহলের দাবি এই সমস্ত জালের ফাঁদ থেকে দেশীয় প্রজাতির মাছকে রক্ষা করা হোক।