ডিমলা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ-এ সমাপনী পরীক্ষা ২০২৫ খ্রিঃ ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং, এ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট কোর্স, বেসিক (৩৬০ ঘন্টা) ও এসএসসি (ভোকেশনাল) ব্যবহারিক পরীক্ষায় অনিয়ম ও পরীক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ।
ভুক্তভোগি প্রতিষ্ঠান প্রধানের অভিযোগের ভিত্তিতে ডিমলা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজে/২০২৫ খ্রিঃ অনুষ্ঠিতব্য ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং সমাপনী ব্যবহারিক পরীক্ষা কেন্দ্রে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কেন্দ্র সচিব হেমন্ত কুমার রায় ও একাডেমিক সুপারভাইজার/হল সুপার মোঃ সোলায়মান আলী প্রতিদিনের ন্যায় নিজ খেয়াল খুশি মত পরীক্ষা পরিচালনার নীতিমালা তোয়াক্কা না করে নিজ দাম্ভিকতায় দুই দিনে ১ম ও ৩য় পর্বের সকল পর্ব/বিষয়ের পরীক্ষা শেষ করেছে। এবং ৫ম ও ৭ম পর্বের সকল পরীক্ষার্থীদের ৩ বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা আজ ২৩/০৮/২৫ খ্রিঃ শনিবার এক দিনে এক থেকে দেড় ঘন্টায় সকাল ১১ ঘটিকার মধ্যে সকল পরীক্ষা শেষ করছে। অভ্যন্তরীন/অনাভ্যন্তরীন ব্যবহারিক পরীক্ষক এর তালিকা বাকাশিবোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রন শাখায় অবগত করে নাই এবং বোর্ডের ই-মেইলে প্রেরন করেন নাই। অভ্যন্তরীন/অনাভ্যন্তরীন পরিক্ষক না নিয়ে টিএসসির শিক্ষক দিয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষার মানবন্টন ও প্রশ্নপত্র ছাড়াই পরীক্ষা গ্রহন করছে। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষার রুটিন ১৭/৮/২৫ তারিখ রাত ১০.০০ ঘটিকায় প্রকাশ করে।এতে ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানদ্বয় রাত জেগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঐ সময় সূচি পরীক্ষার্থীদের জানায় ঐ সময়ে অনেক পরীক্ষার্থীকে ফোনে পাওয়া যায় নাই। এতে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ হয়রানীর স্বিকার সহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। কোন প্রকার যন্ত্রপাতি ছাড়াই ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহন করছে। ছাত্র ছাত্রীদরে সাথে দূর্ব্যবহার ও অশ্লিন ভাষায় গালি গালাজ করে, ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করে দেয়ার হুমকি দেয় ও মানসিক হয়রানি করে। ডিমলা টিএসসির শিক্ষকরা পরীক্ষার্থীদের সামনে নিজেদের বি সি এস ক্যাডার ও র্নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে হুমকি প্রদান করে।
অভিযুক্ত বিষয়ে ডিমলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ডিমলা ও সাহেব পাড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ডোমার এর অদ্যক্ষের কাছে এ বিষয় জানতে চাইলে বলেন ১৮৬ জন পরীক্ষার্থী নিয়ে দির্ঘ্য দেড় মাস ব্যাপি ১২৭টি বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহন করতে হবে তাই বোড নির্ধারিত ফি দিয়ে কেন্দ্র চালানো সম্ভব নয় মর্মে পরীক্ষার্থী প্রতি অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে বলে কেন্দ্র সচিব দাবি করে। অতরিক্তি টাকা দিতে ভুক্তভোগী প্রতষ্ঠিান প্রধানগণ অস্বীকার করেন। অতিরিক্ত টাকা না দেয়ার কারণে ডিমলা টি এস সি কেন্দ্র ছাত্র ছাত্রীদের সাথে এমন আচরণ করছে। ডিমলা টিএসসি কেন্দ্রের অনিয়মের বিবরন ইতিমধ্যে ২, ৩ ও ৫ আগষ্ট/২০২৫ খ্রিঃ তারিখে একাধিক স্থানিয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরেও কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করেন নাই।
অভিভাবক মোঃ তৈয়ব আলী বলেন, আমার ছেলে মোঃ রায়হান কবির বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করে বলে টি এস সি কেন্দ্রে কোন সিটপ্লান নাই, ২-৩ সটি পরপর আমাদরে বসতে বাধ্য করছে আজ ২৩/৮/২৫ তারিখে ৩ বিষয়ে ব্যবহরকি পরীক্ষা ৬ ঘন্টায় হওয়ার কথা কিন্তু এক-দেড় ঘন্টায় নিয়ে আমাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়।অভিভাবক মোছঃ শামীমা পারভিন বলেন আমার মেয়ে আশা আক্তার একাধিক দিন বাসায় কান্নাকাটি করে বলে ১ ঘন্টা সময় থাকতে আমার খাতা কেরে নিয়ে বের করে দেয়, কোন কোন সময় খাতা করে নিয়ে রেখে দেয়। আজও তিন বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা ৬ ঘন্টায় হওয়ার কথা, কিন্তু ১ ঘন্টায় নিয়ে আমাকে ফলে করে দেয়ার হুমকি দেয়। এবং এ বিষয়ে অনেক অভিভাবকগণ ও পরীক্ষার্থীরা বিভিন্ন মন্তব্য ব্যক্ত করেন।
কক্ষ পরিদর্শক ওমর ফারুক সবুজ, আতিক রহমান, নুর গোলসান রাকিব ও মমিনুল ইসলামের কাছে চলমান ব্যবহারিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও মানবন্টন দেখতে চাইলে তা দেখাতে পাড়ে নাই। পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন হল-সুপার সোলায়মান আলী ও কেন্দ্র সচিব হেমন্ত কুমার স্যারের নির্দেশে এমন পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে ।এই বিষয়ে হল-সুপার সোলায়মান আলী বলেন আমি এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিব না। কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ হেমন্ত কুমারের সাথে কথা বলেন উনি এর উত্তর দিবেন। এবং চলমান ব্যবহারিক পরীক্ষার মানবন্টন সহ প্রশ্নপত্র দেখতে চাইলে হল-সুপার তা দেখাতে পাড়ে নাই।
এই বিষয়ে কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ হেমন্ত কুমার বলেন, আমি সংবাদিকদের কাছে সাক্ষাৎকার দিবো না। সাংবাদিক সর্ম্পকে আমার ভালো জানা আছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরানুজ্জামান বলেন, ডিমলা টিএসসি কর্তৃপক্ষ আমাকে ব্যবহারিক পরীক্ষা সম্পর্কে কিছু জানায়নি, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।