আর মাত্র এক (১) দিন বাকী জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ।
আগামী ৩০ আগস্ট অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নেত্রকোণা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হয়েছেন কেন্দুয়ার বাদে আঠারবাড়ী এলাকার বাসিন্দা ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী ।
'মাছ' প্রতীক নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন জেলার প্রতিটি উপজেলা ও পৌরসভার আনাচে-কানাচে । দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ কাউন্সিলরদের কাছে ভোট, সমর্থন ও দোয়া প্রার্থনা করছেন । প্রতিটি সভা ও গণসংযোগে বক্তৃতায় ব্যক্ত করছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হয়ে দলকে সাংগঠনিকভাবে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করতে চান তিনি ।
দলীয় নেতাকর্মীদের অনেকে বলেন, এবার এ পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে । তবে সাধারণ কর্মী সমর্থকরা মনে করেন, দুর্দিনে যারা দলের পাশে ছিলো, মামলা হামলা ও জেল জুলুম সহ্য করেছে, ছাত্র রাজনীতি থেকে আজ পর্যন্ত থেমে যান নি তাদেরই নেতৃত্বে আসা উচিত । ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী তেমনি নিবেদিত একজন ।
জানা গেছে, ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী প্রাথমিকের গন্ডী পেরিয়ে কেন্দুয়া জয়হরি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (বর্তমানে কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) থেকে ১৯৮৪ সালে লেটার মার্কসসহ প্রথম বিভাগে এসএসসি এবং ১৯৮৬ সালে কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজ (বর্তমানে কেন্দুয়া সরকারি কলেজ) থেকে লেটার মার্কসসহ এইচএসসি পাস করেন । ভর্তি হোন দেশের স্বনামধন্য উচ্চ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে । ওখানে থেকেই শুরু হয় মূলত ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে তাঁর পথচলা । ১৯৮৭ সালে তিনি আলাওল হলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন । ১৯৮৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার সম্পাদক, ১৯৯০ সালে সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯৩ সভাপতি পদ লাভ করেন তিনি ।
এরপর ১৯৯৫ সালে কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য পদ ও ১৯৯৭ সালে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন । ২০০২ সালে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মনোনীত হোন তিনি ।
২০০৮ ও ২০১৬ সালে তিনি কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি নির্বাচিত হন । ২০১৩ সালে ২০-দলীয় ঐক্য জোটের সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন । এর ভেতর তিনি ২০১২ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদানের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন ।
দীর্ঘ প্রায় চার দশকের রাজনৈতিক জীবনে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়েছেন ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী । বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ৫৬টি মামলার আসামী, হামলা, গ্রেফতার ও জেল খেটেছেন তিনি ।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সর্বশেষ জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন ।
এছাড়াও তিনি নেত্রকোণা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে ২০০৬ সালে প্রথম ধানের শীর্ষের মনোনয়ন পেলেও শেষ পর্যন্ত এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নি । ২০০৮ সালে পুনরায় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করে জেলায় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে পরাজিত হন । ২০১৮ সালের নির্বাচনেও ধানের শীষের নমিনি ছিলেন তিনি ।
সব মিলিয়ে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী বিএনপির রাজনীতিতে বিশেষ করে তরুণ ও যুবদের কাছে একজন আইডল । আমরা চাই তিনি জেলার দায়িত্ব নিয়ে দলকে আরো সুসংগঠিত করুক । সুখে -দুখে আমাদের পাশে থাকুক । এমন আকুতিই জানান কেন্দুয়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মাইন উদ্দিন ।
প্রসঙ্গত উক্ত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হয়েছেন ৩জন ।