মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে ৪০ লক্ষ টাকার আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১৭ জুলাই , ২০২৫ ১৭:৫৩ আপডেট: ১৭ জুলাই , ২০২৫ ১৭:৫৩ পিএম
মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে ৪০ লক্ষ টাকার আত্মসাৎ এর  অভিযোগ উঠেছে

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ৪নং অন্নদানগর ইউনিয়ন 
ও অন্নদা-নগর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নির্মান
কাজের ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের মধ্যে থেকে,প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে মসজিদ কমিটির সভাপতি,আতাউর মাস্টার ও সবেক আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনার রশিদ হারাগছি ও সাবেক আওয়ামী লীগ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো.আতাউর রহমান মাস্টার ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো.রশিদ হারুন হারাগ -ছি বলেন,আমাদের নামে যে অভিযোগ উঠেছে সেটি মিথ্যা এবং বানোয়াট,এর কোনো অংশে সত্যতা নেই,এখনো পর্যন্ত নির্মাণ কাজ চার ভাগের এক ভাগ বাকি রয়েছে,কাজ শেষ করে,আমরা হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দেব। 
ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দোকান বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে কমিটি কোন আত্মীয়স্বজন ও বহিরাগতদের দোকান বরাদ্দ দিচ্ছে না,মূলত এই মসজিদ মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে ব্যব- সায়ীদের অর্থ দিয়ে,এখানে কোন সরকারি বরাদ্দ নেই মেইন  রোডের সঙ্গে যাদের দোকান রয়েছে,তারা দিচ্ছে ৭ লাখ ও যাদের মার্কেটের ভিতরে তাদের ৬ লাখ আর যারা পিছনে রয়েছে তারা দিচ্ছে,৫ লাখ প্রতি দোকান এইভাবে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। 
অবশ্যই আমরা সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে একটি মিটিং ডেকে  অনুদান নেওয়া টাকার হিসাব আমরা প্রকাশ করব। 
সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো.আমিনুল ইসলাম পলাতক  থাকায় গণমাধ্যম কর্মী যোগাযোগ করতে না পাড়ায় তার নিকট থেকে কোন কিছু জানা যায়নি। 
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দুইজন কালু মিয়া ও আলাউদ্দিন মিয়া বলেন,আমরা পরিবার নিয়ে অভাবজনিত অবস্থায় রয়েছি,বাজারে যদি আমাদেরকে একটি দোকান দেয়া হয় তাহলে আমার উপকৃত হব,এবং স্ত্রী সন্তান নিয়ে সঠিকভাবে দুবেলা দুমুঠ ডাল ভাত খেয়ে বাঁচতে পারবো ইনশাল্লাহ।  
আমরা বিগত ৪০ থেকে ৫০ বছর যাবত আগে ৩০০ টাকা করে এককালীন দিয়েছিলাম,ভাড়া দিয়েছি প্রতিমাসে ৩০ আর মসজিদ মার্কেট নির্মাণের আগ পর্যন্ত ৩০০ টাকা করে  দিয়ে আসতেছি। বলেছিল তোমরা সবাই দোকান পাবে কিন্তু এই আশায় বুক বেঁধে রয়েছে কিন্তু দোকান পেলাম না,এখন কোথায় যাব কি করবো স্ত্রীসন্তান নিয়ে কিভাবে চলবো কিছু -ই বুঝতে পারতেছি না। 
আমরা দোকান বরাদ্দ না পাওয়ার লিখিত অভিযোগ করে- ছিলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে,আমরা ব্যবসা করে আমাদের পরিবারকে সচ্ছল রাখার জন্য ব্যবসা করি ভবন নির্মাণ শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা ঋণ হয়েছে,আমরা এই ঋণ কিভাবে শোধ করবো কোন দিশা কুল পাচ্ছি না।
বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান না থাকায় কোনরকম বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি,কিছুদিন আগে একজন প্রশাসক চেয়ারম্যান এই ইউনিয়নে দেয়া হয়েছিল তিনিও দুর্নীতির দায়ে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,মো,নাজমুল হক সুমন,বদলি হয়ে যাওয়ার সঙ্গে তিনিও বদলি হয়ে যান,সাথে এখন ইউনিয়ন পরিষদ ফাঁকা রয়েছে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। 
নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,ইউএনও মো,রাসেল মিয়া জানান,এই বিষয়ে তিনি জানেন না,তবে এই ধরনের কোন অভিযোগ আমার নিকট আশা মাত্রই সঠিক তদন্ত করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। এবং স্থানীয় জনগণের অভিযোগ আমলে নিয়ে অবশ্যই সঠিক পদক্ষেপ নেব। ও মসজিদ কমিটির আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হবে। 
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি,মুসুল্লিরা জানান,মসজিদের মুসল্লী ও কমিটির সদস্য এই কমিটিকে বাতিলের দাবিতে ইউএনও অফিসে একটি স্মারকলিপি দিয়ে এসেছিলেন কিন্তু তার কোন ফলস্বরূপ পাইনি। 
আমরা একটি কথা বলতে চাই আল্লাহর ঘরের টাকা যারা আত্মসাৎ করবে,তাদের বিচারেই এই জমিনের বুকেই হবে। এত টাকা তিনতলা ফাউন্ডেশনে শুধুমাত্র নিচতলা মার্কেট করেছেন বাকিগুলো তো করবেন না। এখন এত টাকা তো লাগার কথা না,প্রকল্পের টাকা সঠিকভাবে ব্যয় করা হয়নি। 
এলাকার মুসল্লিদের চাওয়া আমরা এই মানি না মানবো না বিগত ১৭ বছর তো দেখলাম,মসজিদের কি উন্নয়ন ওনারা করেছেন,তা তা এলাকাবাসী ও মুসল্লীরা জানেন,আমরা নতুন করে কমিটি তৈরি করে মসজিদের উন্নয়ন-মূলক অগ্র- গতির দিকে ধাবিত হব। এজন্য আগের কমিটি বাতিল চাই উনারা হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাক,তা না হলে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হব। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo