নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে হুমকি, মানহানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সাংবাদিক ও ইউপি সদস্যসহ ৩জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
বুধবার (১৬জুলাই) প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সাংবাদিক মহিউদ্দিন তালুকদার, তানজিলা শাহ রুবি ও সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মনজুরা আক্তারকে অভিযুক্ত করে এ মামলা দায়ের করেন ।
উক্ত মামলায় ইউপি সদস্য মোঃ কাঞ্চন মিয়া, মোঃ আলমগীর, মোঃ আবু হানিফা ও মোঃ আনিছুল হকসহ ৪জনকে সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে । মামলা নং ১৭/২০২৫ । মামলা মারফত আরো জানা যায়, গত ২৯মে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিলা আক্তার নিপা ইউনিয়ন পরিষদে একটি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনাকালে অভিযুক্ত মহি উদ্দিন তালুকদার অনুমতি ছাড়াই কক্ষে প্রবেশ করে নিষেধ করা সত্বেও ২০মিনিট ভিডিও ধারণ করেন । এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের মাধ্যমে মানহানির হুমকি দেন ।
অন্যদিকে গত ২জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং এসেসমেন্ট কার্যক্রম উদ্বোধনকালে পরিষদের সদস্যরা ৩নং বিবাদী মনজুরা আক্তার ও ২নং বিবাদী তানজিলা শাহ রুবির সহায়তায় সাংবাদিক মহিউদ্দিন বিভিন্ন সময় পরিষদে এসে চাঁদা দাবি করেন এবং চাঁদা না দিলে মিডিয়ায় মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেন তারা ।
এছাড়াও গত ৪জুলাই সাংবাদিক মহি উদ্দিন “ঘুষ দুর্নীতির নেশায় মাতাল হওয়ার মুখ উন্মোচন করায় সাংবাদিককে মারধর করে হাত-পা বেঁধে খবর দেওয়ার আল্টিমেটাম দেন কেন্দুয়া উপজেলার ইউএনও” শিরোনামে একটি পোস্টও করেন । একই সঙ্গে ইউএনও ও ইউপি কর্মকর্তাদের নিয়ে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে অপপ্রচার চালান তিনি এবং গত ১৩জুলাই তিনি ফেইসবুকে আরো একটি পোস্টে লেখেন, “মহিলা সদস্যকে, মেম্বারী চুদিয়ে দেবো বললেন কেন্দুয়ার ইউএনও” শিরোনামে যা প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিদ্বেষ ছড়ানোর শামিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয় ।
এরপর গত ১০ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার নিজ কার্যালয়ে উক্ত ঘটনার তদন্ত পরিচালনা করলে ইউপিমসদস্য মনজুরা আক্তার তদন্তে বাধা দেন এবং উত্তেজিত হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে ডাকা হয় এবং তাকে সাময়িকভাবে পাশের কক্ষে স্থানান্তর করা হয় । এ সময় সাংবাদিক তানজিলা রুবি ও মহি উদ্দিন আবারও ভিডিও ধারণ করে তা তাদের ফেইসবুক আইডিতে বিকৃতভাবে প্রচার করেন ।
মামমার তথ্য মতে, সাংবাদিক তানজিলা রুবিও তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে ইউএনও ও ইউপি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও আপত্তিকর বক্তব্য প্রদান করেন ।অভিযুক্তদেরএকজন (সাংবাদিক) মহিউদ্দিন তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, "আমি ও রুবির ব্যাপারে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা। আমরা চাঁদাবাজি করতে যাইনি। আমরা গিয়েছিলাম মহিলা মেম্বারের বিষয়ে একটি অভিযোগের তদন্ত শোনার জন্য। আমরা এতটুকু জানি। আমাদের বিরুদ্বে এজাহারে আনিত অভিযোগ মিত্যা ও ভিত্তিহীন ।"
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান মুঠোফোনে জানান, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২৫ ও ২৭ ধারায় মামলা রজু হয়েছে । এর অধীনে তদন্ত শুরু করেছি আমরা ।