রাজনীতির ময়দানে উত্তাপ বাড়ছে দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণে। বিশেষ করে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। আজকের দিনে সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আজম সৈকতের একটি গণসংযোগকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা তীব্রতর আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, বিএনপির মধ্যে এখন দুটি প্রধান গ্রুপ সক্রিয়। একদিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গোলাম আজম সৈকত সহ আরও পাঁচজন হেভিওয়েট নেতা। অন্যদিকে রয়েছেন বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল। এই বিভাজনের কারণে স্থানীয় বাজার এলাকায় দুটি আলাদা রাজনৈতিক কার্যালয় দেখা যাচ্ছে।
গোলাম আজম সৈকত আজ তার ৩১ দফা প্রচারণা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সালাম পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে একটি গণসংযোগে অংশ নেন। এ সময় তিনি ঐ ক্লাবে উপস্হিত হন তখনই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব কিরন হাওলাদার একটি চেয়ার উঁচিয়ে ধরে রাখেন, যা নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। গোলাম আজম সৈকতের অনুসারীদের মতে, কিরন হাওলাদার এই আচরণের মাধ্যমে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন। তবে কিরন হাওলাদার জানান যে, তিনি মিডিয়ার সামনে যেতে ইচ্ছুক ছিলেন না, তাই চেয়ার তুলে মুখ লুকিয়েছিলেন।
এই পরিস্থিতি চলাকালে গোলাম আজম সৈকতের কৌশলগত অবস্থানের কারণে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। তবে এই ঘটনা বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের একটি প্রতিফলন এবং তা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ দেশের রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং এই পরিস্থিতিতে দলের ঐক্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণে সৃষ্ট এই উত্তেজনা যদি সমাধান না করা হয়, তবে তা দলটির নির্বাচনী সম্ভাবনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এই ধরনের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং অনাস্থা সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা জরুরি, যাতে করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
এই বিষয়ের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এটি শুধু বিএনপি নয়, বরং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক দৃশ্যপটেও প্রভাব ফেলতে পারে।