কক্সবাজার জেলায় জমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী উৎস কর কমানোর দাবিতে সেভ দ্যা কক্সবাজার কর্তৃক কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় এর সামনে ২০ আগস্ট, বুধবার, সকাল সাড়ে ১০টায় এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয় । এতে সভাপতিত্ব করেন সেভ দ্যা কক্সবাজার এর চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি তৌহিদ বেলাল । মানববন্ধন কর্মসূচী সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মো: কামরুল হাসান।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচী তে কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল বলেন, কক্সবাজারের জমি ক্রয়বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নতুন করারোপের প্রভাবে জমি কেনাবেচায় স্থবির হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের উপর আর্থিক চাপ তৈরি হয়েছে। আরোপিত কর প্রত্যাহার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং আইনি লড়াই করা হবে। এটি কক্সবাজার ২৯ লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবি।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচী তে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক ও প্রবীন ব্যক্তিত্ব নুরুল ইসলাম, কক্সবাজারের জন স্বার্থ নিয়ে কাজ করা সামাজিক সংগঠন সিসিএনএফ এর সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক মুকবুল আহামদ, জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন, আব্দুর রহিম বাবু, কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুজন সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মাহাবুবুর রহমান, পরিবেশ কর্মী এনামুল হক চৌধুরী, সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী কবি এম জসিম উদ্দিন, পরিবেশ ও উন্নয়ন কর্মী আরিফ উল্লাহ, সাংবাদিক রতন দাশ, জেলা হিউমেন রাইটস ডিফেন্ডার ফোরাম সদস্য সচিব মিজানুর রহমান বাহাদুর প্রমুখ ।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে কক্সবাজার জেলার ৮১টি মৌজায় জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে নতুন উৎস কর আরোপ করা হয়েছে। নতুন হারে কৃষি/নাল জমি: প্রতি শতকে ২৫,০০০ টাকা – আবাসিক জমি: প্রতি শতকে ৫০,০০০ টাকা – বাণিজ্যিক জমি: প্রতি শতকে ১, ০০,০০০ টাকা এই হার স্থানীয় বাজারদামের তুলনায় বহুগুণ বেশি, বিশেষত গ্রামীণ ও চরাঞ্চলে। অতিরিক্ত উৎস করের কারণে সাধারণ মানুষের ওপর অযৌক্তিক আর্থিক চাপ তৈরি হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ: কুতুবদিয়ায় এক একর (১০০ শতক) জমির বাজারমূল্য প্রায় ৮০ হাজার টাকা হলেও দলিল নিবন্ধনের সময় উৎস কর গুনতে হচ্ছে প্রায় ২৫ লাখ টাকা। এ ধরনের বৈষম্যের ফলে বৈধভাবে জমি নিবন্ধন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। দলিল নিবন্ধন কার্যত বন্ধ উৎস করের উচ্চহার জমির ক্রেতা-বিক্রেতাদের বৈধ নিবন্ধন প্রক্রিয়া থেকে নিরুৎসাহিত করছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে বায়নামা, পাওয়ার অব অ্যাটনি, হেবা বা দান ঘোষণার মতো বিকল্প পথে যাচ্ছেন। এতে সরকার প্রত্যাশিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মানববন্ধনে রাজনৈতিক,সাংবাদিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপস্থিত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।