আজ ১ আগস্ট শুক্রবার। সময়ের পরিক্রমায় গৌরবের ৬১ বছর পেরিয়ে ৬২ বছরে পদাপর্ণ করল ময়মনসিংহের গৌরীপুর সরকারি কলেজ। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে নিজস্ব আলোয় আলোকিত ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ অঞ্চলের এই বিদ্যাপীঠ।
ময়মনসিংহের উত্তর জনপদের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ১৯৬৪ সালের ১ আগস্ট গৌরীপুর পৌর শহরের কৃষ্ণপুর এলাকায় জমিদার সুরেন্দ্র প্রসাদ লাহিড়ীর বাড়িতে যাত্রা শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপীঠের। ২২ একর জমির উপর গড়ে উঠা দৃষ্টিনন্দন কলেজটি নানা সংকট ও সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা করে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে।১৯৯১ সালের ২৫ এপ্রিল কলেজটি সরকারিকরণ হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ ৬১ বছর অতিক্রান্ত করে কলেজটি আজ একটি বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
সুপ্রশস্ত মনোরম ক্যাম্পাস ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সমৃদ্ধ কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত কলেজটিতে পাশাপাশি ডিগ্রি পাস কোর্স ও অনার্স শ্রেণিতে পাঠদান চালু রয়েছে।
২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে কলেজটিতে অনার্স কোর্সের প্রবর্তন করেন ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব) মজিবুর রহমান ফকির।বর্তমানে কলেজটিতে বাংলা, সমাজকর্ম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনাসহ মোট ৬টি বিষয়ের অনার্স কোর্স চালু আছে। কলেজে অধ্যয়নরত সর্বমোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। কলেজে অধ্যক্ষ, অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক সহ ৪৮ জন কর্মরত আছেন।কলেজের শিক্ষার্থীদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য রয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও সমাজ সেবামূলক কাজের অনুপ্রেরণার জন্য রয়েছে রোভার স্কাউট ইউনিট ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। এ কলেজে দূরবর্তী ছাত্রদের পড়াশোনার জন্য ২টি ছাত্রাবাসও আছে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে বিশাল একটি মাঠ।গৌরীপুর সরকারি কলেজর অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলমান থাকায় কলেজ বন্ধ রয়েছে।কলেজ খোলা হলে পরবর্তী কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।