সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রাজু আহমদ গংরা ধামালিয়া নদী,জলিলপুর গ্রামের সরকারি জব্দকৃত বালু,আহবায়ক পদ ব্যবহার সিন্ডিকেটের মাধ্যম বিপুল টাকার বিনিময়ে দিনে রাতে বলগেট নৌকা দিয়ে অবৈধভাবে বিক্রির প্রতিবাদ করায় উপজেলা কৃষকদল নেতা সিরাজুল ইসলাম খন্দকারসহ তার লোকজনকে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমার ভয়ভীতি সহ বিভিন্নভাবে হুমকি দামকি ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এলাকাবাসির আয়োজনে দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের রহিমপুর কদমতলী পয়েন্টে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ বাদাঘাট ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম মেম্বারের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্যে রাখেন,বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা জাতীয়তাবাদি কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম খন্দকার, দূর্গাপুরের মোঃ তাহের আলী,বিএনপির সদস্য মোঃ গোলাপ মিয়া,৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি রবিউল আউয়াল,যুবদল সদস্য আবুল হোসেন প্রমুখ। নেতৃবৃন্দরা বলেন,আমাদের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রাজু আহমদ গত জুন মাসের ২৩ তারিখে উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বেশ কয়েকটি বালু বোঝাই অবৈধ বলগেট নৌকা আটক করে জলিলপুরে নদীর পাড়ে এই বালুগুলো রাখা হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রাজু আহমেদ এই বালুগুলো অন্যত্র বিক্রিসহ বিভিন্ন জায়গাতে অবৈধভাবে লুটপাঠ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আমরা সাধারন কর্মীরা এসব অপকর্ম জানতে পেরে এর প্রতিবাদ করলে তিনি আমাদেরকে বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ হুমকি দামকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ তাদের। অবিলম্বে এই দূর্নীতিবাজ রাজু আহমদকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক পদ থেকে অব্যাহতিসহ তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট মানববন্ধনে আসা তৃণমূল বিএনপি,যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল ও কৃষকদলের নেতারা দাবী জানান। এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রাজু আহমেদর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আমার দলের পক্ষ থেকে যেকোন অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে সহযোগিতা রয়েছে। তিনি আরো বলেন,আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হবে সেখানে সিরাজুল ইসলাম খন্দকার ধনপুর ইউনিযন বিএনপির আহবায়ক ও যুগ্মআবহায়ক পদের জন্য ফরম কিনে তাকে পদ দেয়ার জন্য। কিন্তু পদটা দিতে হলে তো জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের কিছু সুপারিশ থাকে যাচাই বাছ্ইা করে কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত করতে হয়। এটা নিয়েই মূলত তার সাথে দ্বন্ধ। তিনি বলেন একটি দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ন্ত্রনে আইন শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি মিডিয়া বিরাট ভূমিকা রাখছে বলেই দেশ সঠিক পথে চলছে।