বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশনের (বিভিএ) আয়োজনে এবং অ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব)-এর সহযোগিতায় তরুণ ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শুরু হচ্ছে তিন মাসব্যাপী "দক্ষতা উন্নয়ন হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি"।
কর্মসূচিটি আগামী ২৯ জুন হয়ে শুরু হয়ে তিন মাস ধরে বিভিন্ন প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস, মাঠপর্যায়ের ভিজিট এবং অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। যেখানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ জন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫ জন, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ জন, গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ জন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ জন ও হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ জন সদ্য ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েট এই বিশেষায়িত প্রশিক্ষণে অংশ নেবার সুযোগ পেয়েছে।বুধবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার সেন্ট্রাল ভেটেরিনারি হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। বিভিএ সদস্য ডা. আল আমিনের উপস্থাপনায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বিভিএ সদস্য ডা. শাহাদাত হোসেন পারভেজ।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। সভাপতিত্ব করেন বিভিএ'র আহ্বায়ক ডা. মো. সফিউল আহাদ সরদার স্বপন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভিএ'র সদস্য সচিব ডা. মো: তারেক হোসেন।এসময় ট্রেনিং প্রদানকারী সংস্থা থেকে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজিজ আল মামুন, ঢাকা গ্রুপের জিএম খলিলুর রহমান, বিএলআরআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এম. এ. সামাদ, পূর্বাচলে অবস্থিত সিভাসু টিচিং এন্ড ট্রেইনিং পেট হসপিটাল এন্ড রিসার্চ সেন্টারের ডেপুটি চিফ ভেটেরিনারি অফিসার ডা. আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ এনিমেল কেয়ার সেন্টারের ডা. সুব্রত, আহকাব সভাপতি সায়েম উল হক, আহকাব মহাসচিব আফতাব আলম, দি ভেট এক্সিকিউটিভ এর সভাপতি ডা. রেজাউল করিম মনি, আহকাব এর কোষাধ্যক্ষ ডা. মোজাম্মেল হক খান, আড়ং ডেইরির জিএম ডা. হারুন অর রশিদ, বিভিএ সদস্য ডা. আলমগীর, ডা. শাহজাহান সাজু, ডা. জহিরুল সহ আরো অনেকে।অনুষ্ঠানে বিভিএ আহ্বায়ক ডা. সফিউল আহাদ সরদার স্বপন বলেন, দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে দক্ষ ও প্রযুক্তি-সক্ষম ভেটেরিনারিয়ানদের প্রয়োজনীয়তা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এই ধরনের প্রশিক্ষণ তরুণদের হাতে বাস্তবভিত্তিক অভিজ্ঞতা এনে দেবে।বক্তারা আরো বলেন, এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণ ভেটেরিনারিয়ানরা ব্যবহারিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাবেন। প্রশিক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে- পোলট্রি ব্রিডার ফার্ম ব্যবস্থাপনা, হ্যাচারি পরিচালনা, ডায়াগনস্টিক ল্যাব ব্যবহারে, দক্ষতা এবং পোষা প্রাণীর চিকিৎসা ও ক্লিনিক্যাল চর্চা।গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট আর এস মাহমুদ হাসান বলেন, ১৫ জন তরুণ ভেটেরিনারিয়ানের একজন হিসেবে এই বিশেষায়িত প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারাটা আমার জন্য এক বিরাট সুযোগ। আমাদের হাতে-কলমে দক্ষতা অর্জনের দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আমি আশা করি পেট ক্লিনিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একাডেমিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানের সমন্বয়ে নিজেকে একজন দক্ষ ভেটেরিনারিয়ান হিসাবে গড়ে তুলতে পারব, ইনশাআল্লাহ। এই সুযোগের জন্য বিভিএ ও আহকাবকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।উল্লেখ্য, প্রথমবার এই বিশেষায়িত প্রশিক্ষণে ১৪ টি ভেটেরিনারি ক্যাম্পাসের মোট ৪৫ জন সদ্য গ্রাজুয়েট আবেদনকারীর মধ্য থেকে ১৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।