"দ্বন্দ্বে কোন আনন্দ নাই, আপস করো ভাই, লিগ্যাল এইড আছে পাশে, কোন চিন্তা নাই” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২৮ এপ্রিল সোমবার সারাদেশের ন্যায় জামালপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপিত হয়েছে। প্রথমে শান্তির প্রতীক পায়রা ও স্মারক বেলুন উড়িয়ে দিবসটির শুভ উদ্বোধন করা হয়।
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে সকালে জামালপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফৌজদারি মোড় হয়ে ফের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা জজ আদালতের জগন্নাথ-সোহেল স্মৃতি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয়।
জেলা লিগ্যালএইডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ মো. শহীদুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ, জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ মো. রফিকুল ইসলাম, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিন, জেল সুপার আবুল কালাম আজাদ, জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল মামুন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, লিগ্যাল এইডের মো. আল মামুন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আইনজীবী গোলাম নবী, সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী রিশাদ রেজওয়ান বাবু, জামালপুর নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী ফজলুল হক, আইনজীবী ইউসুফ আলী, প্রেসক্লাব জামালপুরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মুখলেছুর রহমান লিখন প্রমুখ। এছাড়াও লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সহায়তা পেয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন উপকারভোগী জহুরুল ইসলাম ও মাহফুজা আক্তার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জ্যেষ্ঠ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানজিনা আক্তার চৌধুরী।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা প্রদান সরকারের একটি মহতি উদ্যােগ হলেও বেশির ভাগ জনগণ এ বিষয়ে অবগত নন। মানুষের মাঝে আইনগত সহায়তা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার ২৮ এপ্রিলকে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে|
বক্তারা আরও বলেন, জামালপুরে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে ২০৬টি মামলা আপস ও মীমাংসা করা হয়। সারাদেশে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে এক লাখ ৮৬ হাজারের এর বেশি মানুষকে আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
আলোচনা সভা শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি, সিভিল সার্জন, জেলা আইনজীবী সমিতি, জজ আদালতের জিপি, পিপি এবং বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধিবর্গ, মানবাধিকারকর্মী ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।