যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পশু হাসপাতালের পাশে ভুয়া রিয়াল প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়ান্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ ও প্রতরণার কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানাধীন সলেমানপুর গ্রামের বাসিন্দা কাঁচামাল ব্যবসায়ী মোঃ সিরাজুল ইসলামকে মোবাইল ফোন কলে নওয়াপাড়ায় ডেকে এনে গত ২০/২২ দিন আগে এ প্রতারনামূলক কর্মকান্ড ঘটায় প্রতারক চক্রটি। ডিবি সূত্র জানায়, প্রায় একমাস আগে কোটচাঁদপুরের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের সাথে চার প্রতারকের কোর্টচাঁদপুর এলাকায় পরিচয় হয় এবং তারা একপর্যায়ে তাকে বলে তাদের নিকট বেশ কিছু সৌদি রিয়াল আছে কিন্তু এই মুহূর্তে তারা এগুলো ভাংগাতে পারছেনা বলে জানায়। এসময় তারা সিরাজুলকে একশত রিয়াল দেখায় এবং তাকে রিয়াল গুলো নিলে তাকে রিয়াল প্রতি ১৫ টাকা দেয়ার প্রলোভন দেখায়। এসময় সিরাজুল তাদের নিকট থেকে সব গুলো রিয়াল ক্রয় করতে রাজি হয়। এরপর গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে তারা সিরাজুলকে মোবাইলে কল করে এবং তাকে টাকা নিয়ে নওয়াপাড়া বুইকারা পশু-হাসপাতালের পাশে সকালে আসতে বলে। সিরাজুলও প্রলোভনে পড়ে যথাস্থানে চলে আসে। এসময় প্রতারকচক্র পাশের গলির ভিতরে নিয়ে তার নিকট থেকে নগদ চার লক্ষ টাকা নেয় এবং তাকে রিয়ালের কথা বলে কাপড়ে মোড়ানো একটা বান্ডিল দিয়ে বলে এগুলো নিয়ে নিরিবিলি কোন স্থানে গিয়ে খুলতে। এই বলে তারা মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে সিরাজুল ইসলাম সেটি খুলে দেখে অনেকগুলো কাগজে মোড়ানো একটি ভিম সাবান। পরবর্তীতে সে যশোর জেলা পুলিশের স্মরণাপন্ন হলে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন তদন্তে নামে এবং সাইবার ক্রাইমের এসআই(নিঃ)/ দেবব্রত ঘোষ এর নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করে গত মঙ্গলবার ভোর ৫টায় খুলনা জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে ঘটনার সাথে জড়িত চারজন আসামিকে গ্রেফতার করে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং ১নং আসামি আব্দুল হামিদের নিকট হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল, চারটি সিম কার্ড, ২নং আসামি ইমদাদুল শেখের কাছ থেকে প্রতারণার সাড়ে তিন হাজার টাকা, একটি মোবাইল ও একটি সিম কার্ড, ৩নং আসামি রাজু শেখের নিকট থেকে একটি মোবাইল, একটি সিম কার্ড এবং পলাতক আসামি জাহিদ সর্দ্দারের বসত বাড়ি হতে প্রতারণার নগদ ৮০ হাজার টাকা, একটি মোবাইল, একটি সিম কার্ড ও একটি মোটরসাইকেল(এফজেড-ভার্সন-৩) উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে ১নং আসামি বিজ্ঞ আসালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।