১০ম হিজরিতে বিদায় হজ্ব শেষে রাসুল (সাঃ) মক্কা থেকে মদিনা ফেরার পথে ১৮ই জিলহজ্জ গাদীরে খুম নামক স্থানে এক অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লক্ষাধিক সাহাবির উপস্থিতিতে হযরত আলী (আ.) কে মুমিনগণের মওলা হিসেবে মনোনিত করেন। দিনটি উম্মতে মোহাম্মদী (সঃ) এর জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দঘন দিন। উক্ত দিবসের স্মরণে ১৪ জুন ২০২৫ ইং, শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে আঞ্জুমানে আশেকানে আহলে বাইতে রাসুল (সাঃ) সংগঠন কতৃক এক রালী, আলোচনা সভা ও সেমা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাদে আসর উক্ত রালীর শুরুর প্রারম্ভে প্রেস ব্রিফিং করেন শাহজাদা সৈয়দ আতিকুল ইসলাম মাইজভান্ডারী (মা.জি.আ), রালি মসজিদ প্রাঙ্গন হতে দামপাড়া পুলিশ লাইন হয়ে জিইসি কনভেনশনে পৌছাঁয়। পরবর্তিতে আলোচনা সভা ও সেমা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সৈয়দ গোলাম মোরশেদ মাইজভান্ডারির (মা.জি.আ) সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হযরত শাহসুফি সৈয়দ আলমগীর ফজল মাইজভান্ডারী (মা.জি.আ)। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ, সহযোগী অধ্যাপক আরবী বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফারসিভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসানুল হাদী (মা.জি.আ)। উদ্বোধনী আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ শাহজাহান, সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ছোবহানিয়া কামিল (এম.এ) মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম। সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সৈয়দ জিয়াউল হাসান (হাফেজ নগরী) সভাপতি, আঞ্জুমানে আশেকানে আহলে বাইতে রাসুল (সাঃ)। তাছাড়া মাইজভান্ডার দরবার শরীফ থেকে বিশেষ সম্মানিত আউলাদে পাক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজাদা হযরত সৈয়দ নুর হোসেন মাইজভান্ডারী (মা.জি.আ), শাহজাদা হযরত সৈয়দ আতিকুল ইসলাম মাইজভান্ডারী (মা. জি. আ), শাহজাদা হযরত সৈয়দ নজিব উল্লাহ মাইজভান্ডারী (মা.জি.আ)।
এছাড়া দেশবরেণ্য বিভিন্ন দরবারের আওলাদে পাকগণ, আলেম ওলামা ও শিক্ষাবিদগণ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় আদর্শ সমূহ নিয়ে আলোকপাত করেন। মুখ্য আলোচকবৃন্দ তাদের আলোচনায় একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে সকলকে বিশেষ করে তরুণ সমাজকে ইসলামের প্রকৃত ইতিহাস জানতে আহবান জানান এবং বলেন প্রকৃত ইতিহাস জানার মাধ্যমে সমাজের প্রচলিত মিথ্যা এবং ভ্রান্ত ধারণার অপনোদন সম্ভব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন রাসুল (সাঃ) এর রেখে যাওয়া দুটি ভারী জিনিস আমাদেরকে আঁকড়ে ধরতে হবে, যার একটি আল্লাহর কিতাব এবং অপরটি আহলে বাইত। তিনি আরো বলেন হযরত আলী (আ.) প্রত্যেক মুমিন নর-নারীর মওলা। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হযরত শাহসুফি সৈয়দ নাঈম উদ্দীন আহমেদ (মা.জি.আ), দৌলতবাড়ী দরবার শরীফ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া।