ফিরোজ আহম্মদ উপজেলা প্রতিনিধি( নওগাঁ)
নাম: মৃদুল চক্রবর্তী
পেশা: বিক্রয় প্রতিনিধি
কোম্পানি: স্টার লাইন
কর্মস্থল: বদলগাছি ও ভান্ডারপুর
জীবনে কিছু পেশা আছে, যা বাইরের দৃষ্টিতে ছোট মনে হলেও, ভিতরে লুকিয়ে থাকে অপার কষ্ট, পরিশ্রম আর আত্মত্যাগের গল্প। ঠিক তেমন এক পেশা বিক্রয় প্রতিনিধির। আর সেই পেশার একজন নিঃশব্দ যোদ্ধা হলেন মৃদুল চক্রবর্তী — যিনি প্রতিদিন ঘাম, ধুলো আর হতাশাকে সঙ্গী করে ছুটে চলেন স্বপ্নের পথে।
প্রতিদিনের সূর্য ওঠা মানেই নতুন সংগ্রাম।
প্রতিদিন ভোরবেলা ঘুম ভেঙে উঠে মৃদুল তৈরি হন—না শুধু শরীরে, তার চেয়েও বেশি মানসিকভাবে। কারণ তার পথচলা সহজ নয়। একটা ব্যাগে কোম্পানির ক্যাটালগ, অর্ডার বুক, আর কিছু নমুনা পণ্য নিয়ে শুরু হয় দিনের যুদ্ধ।
প্রখর রোদ, বৃষ্টির ছাঁট, কাঁদা রাস্তায় ছুটে চলেন দোকানে দোকানে । হাঁপিয়ে ওঠে শরীর, কিন্তু থামে না মন। কারণ, ঘরে বৃদ্ধ বাবা-মা তাকিয়ে আছে তার ইনকামের দিকে। সেই দায় মৃদুলকে সাহস দেয়, চলতে শেখায়।
অর্ডার মানেই সম্মান ও সংকটের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা , বাজারে গিয়ে দোকানদারদের কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অনেকে ভালো ব্যবহার করেন, কেউ বা তাচ্ছিল্যভরে বলেন
“আগের জিনিসই তো পড়ে আছে ভাই, নতুনটা আনবো ক্যান?”
এই কথা শুনে বুকের ভেতর চাপা পড়ে যায় অনেক কথা, কিন্তু মুখে হাসি রেখে বলতে হয়—
“এইটা নতুন অফারে আছে ভাই, একবার ট্রাই করে দেখেন।”
একেকটা অর্ডার কাটা মানে শুধু বিক্রির সংখ্যা বাড়া নয়—ওটা মৃদুলের নিজের টিকে থাকার লড়াই, পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর লড়াই।
টাকার টানাপোড়েন ও জীবনের হিসেব
বেতন খুব বেশি নয়, তার উপর নির্ভর করে কমিশনের উপর। টার্গেট না পূরণ করলে বেতন কেটে যায়। মাসের শেষে হিসেব মেলাতে গিয়ে দেখা যায়—যাতায়াত, খাওয়া-দাওয়া, ফোন বিল মিলিয়ে পকেটে তেমন কিছু থাকে না।
কখনো শরীর খারাপ, কখনো জ্বর, তবুও রুটিন থেমে থাকে না।
"আজ দোকানে না গেলে কাল অর্ডার উঠবে না।"
এই চিন্তা তাকে আবার রাস্তায় নামিয়ে আনে।
মনোবলই মৃদুলের পাথেয়
সব কষ্টের পরও মৃদুল বলেন—
“আমি খারাপ কিছু করি না। নিজের ঘাম দিয়ে খাই। যতই কষ্ট হোক, এটা আমার গর্ব।”
সে জানে, একদিন সময় বদলাবে। হয়তো স্টার লাইনের একজন এরিয়া ম্যানেজার হবে সে। হয়তো তখন নিজের বাইকে চলবে, অফিসে বসে নতুনদের গাইড দেবে। এখনকার এই কষ্ট একদিন হয়তো তাকে সেই উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
বিক্রয় প্রতিনিধির পেশাটা হয়তো কারও চোখে সম্মানজনক নয়, কিন্তু এর ভিতরে লুকিয়ে আছে এক বিশাল আত্মত্যাগের ইতিহাস। মৃদুল চক্রবর্তীর মতো মানুষরাই আমাদের পণ্য পৌঁছে দেন দোকানে, ভোক্তার হাতে।
তাঁদের পরিশ্রমের স্বীকৃতি দেওয়াটা শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, সমাজ হিসেবে আমাদের ঋণস্বীকারও।কামের দিকে। সেই দায় মৃদুলকে সাহস দেয়, চলতে শেখায়।
অর্ডার মানেই সম্মান ও সংকটের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা , বাজারে গিয়ে দোকানদারদের কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অনেকে ভালো ব্যবহার করেন, কেউ বা তাচ্ছিল্যভরে বলেন
“আগের জিনিসই তো পড়ে আছে ভাই, নতুনটা আনবো ক্যান?”
এই কথা শুনে বুকের ভেতর চাপা পড়ে যায় অনেক কথা, কিন্তু মুখে হাসি রেখে বলতে হয়—
“এইটা নতুন অফারে আছে ভাই, একবার ট্রাই করে দেখেন।”
একেকটা অর্ডার কাটা মানে শুধু বিক্রির সংখ্যা বাড়া নয়—ওটা মৃদুলের নিজের টিকে থাকার লড়াই, পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর লড়াই।
টাকার টানাপোড়েন ও জীবনের হিসেব
বেতন খুব বেশি নয়, তার উপর নির্ভর করে কমিশনের উপর। টার্গেট না পূরণ করলে বেতন কেটে যায়। মাসের শেষে হিসেব মেলাতে গিয়ে দেখা যায়—যাতায়াত, খাওয়া-দাওয়া, ফোন বিল মিলিয়ে পকেটে তেমন কিছু থাকে না।
কখনো শরীর খারাপ, কখনো জ্বর, তবুও রুটিন থেমে থাকে না।
"আজ দোকানে না গেলে কাল অর্ডার উঠবে না।"
এই চিন্তা তাকে আবার রাস্তায় নামিয়ে আনে।
মনোবলই মৃদুলের পাথেয়
সব কষ্টের পরও মৃদুল বলেন—
“আমি খারাপ কিছু করি না। নিজের ঘাম দিয়ে খাই। যতই কষ্ট হোক, এটা আমার গর্ব।”
সে জানে, একদিন সময় বদলাবে। হয়তো স্টার লাইনের একজন এরিয়া ম্যানেজার হবে সে। হয়তো তখন নিজের বাইকে চলবে, অফিসে বসে নতুনদের গাইড দেবে। এখনকার এই কষ্ট একদিন হয়তো তাকে সেই উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
বিক্রয় প্রতিনিধির পেশাটা হয়তো কারও চোখে সম্মানজনক নয়, কিন্তু এর ভিতরে লুকিয়ে আছে এক বিশাল আত্মত্যাগের ইতিহাস। মৃদুল চক্রবর্তীর মতো মানুষরাই আমাদের পণ্য পৌঁছে দেন দোকানে, ভোক্তার হাতে।
তাঁদের পরিশ্রমের স্বীকৃতি দেওয়াটা শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, সমাজ হিসেবে আমাদের ঋণস্বীকারও।