দীর্ঘদিন থেকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ থাকার পরও নোয়াখালী চাটখিলে দিন দিন বেড়েই চলছে এই যানের চলাচল। অলিগলি - সবখানেই নির্ভয়ে চলাফেরা করছে এইসব তিন চাকার গাড়ি। ফলে একদিকে যানজট বাড়ছে, অন্যদিকে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তৈরি হচ্ছে বাড়তি চাপ। পাশাপাশি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার অতিরিক্ত গতি থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়েই এসব যানবাহন যাত্রী তুলছে ও নামাচ্ছে। যা যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তার এপাশ থেকে ওপাশে যেতে দিচ্ছে না কোনো ধরনের সিগন্যাল। যেখান-সেখান থেকে যেকোনো সময় যাত্রী উঠানামা করছে এই ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায়। চলন্ত রিকশা হঠাৎ করে রাস্তায় ঘুরিয়ে নিচ্ছে। এসব যানচালকের নেই বৈধ কোনো লাইসেন্স, এমনকি এই ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাগুলোও রেজিস্ট্রেশনবিহীন। তাছাড়া অতিরিক্ত গতি ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা না থাকার জন্য প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান এসব ব্যাটারিচালিত যানবাহনের চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় বয়স্ক থেকে শুরু করে, কিশোরাও চালাচ্ছে এই অটোরিকশা। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ড্রাইভিং লাইসেন্স, অপ্রাপ্ত বয়সে গাড়ি না চালানোর জন্য উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন জনসাধারণ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মিজানুর রহমান সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অটোরিকশা এখনো দেশের যানবাহনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। অচিরে এটা যানবাহনে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে একটা নিয়মের আওতায় আসবে। তার পরও আমাদের পৌর এলাকায় অটোরিকশা চালকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে তাদেরকে পৌরসভা কর্তৃক লাইসেন্স প্রদানের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।