কুরবানীর ঈদ সামনে তাই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ভোলার কামার শিল্পীরা

মোঃআজাদ প্রকাশিত: ৪ জুন , ২০২৫ ১৫:৪৫ আপডেট: ৪ জুন , ২০২৫ ১৫:৪৫ পিএম
কুরবানীর ঈদ সামনে তাই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ভোলার কামার শিল্পীরা

কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ভোলার কামার শিল্পীরা। প্রতিদিন তৈরী করছেন পশু কুরবানী দেওয়ার বিভিন্ন অস্ত্র। সারা বছর কাজ না থাকলেও ঈদের কয়েক দিন কর্মব্যস্ত থাকেন তারা। আর সেই সাথে আয়ও হচ্ছে ভালো। আর ক্রেতারাও নতুন ক্রয় ও পুরাতন অস্ত্রপাতি ধার দিতে  ভীড় করছেন কামার পল্লীতে।
জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে জানাগেছে, আর মাত্র কয়েক দিন বাকী কুরবানীর ঈদ। জেলার সর্বত্র কয়েক হাজার গরু কুরবানী হবে। এসব গরু কাঁটতে দরকার হবে ছোরা, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রের। তাই প্রতি বছরের মত এবছরও সরগরম হয়ে উঠেছে ভোলার কামারপাড়া। কয়লার আগুনে লোহা পুড়িয়ে পিটানোর টুংটাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে কামারপাড়া। হাতুরীর টুংটাং শব্দে কর্মব্যস্ততা বেড়েছে কর্মকারদের। কেউ হাঁপর টানছেন, কেউ হাতুড়ি পিটিয়ে তৈরি করছেন দা, বটি, ছুরিসহ কোরবানির গোশত কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম। সারা বছর কাজ কম থাকলেও এ সময়টা অস্ত্র তৈরীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।
তাদের তৈরী করা ছোরা, চাপাতি ও ছুড়িসহ বিভিন্ন অস্ত্র মান অনুযায়ী কেজি দরে আবার পিস হিসাবেও বিক্রি করা হচ্ছে। প্রকার ভেদে পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, দা ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বটি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ফলে আয়ও হচ্ছে ভাল।এদিকে, গরু কুরবানী দিতে ও মাংস বানানোর জন্য জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা ভীড় করছেন স্থানীয় কামারদের কাছে। বানাচ্ছেনে ছোরা, চাপাতি ও ছুরিসহ বিভিন্ন অস্ত্র। আবার পুরানো অস্ত্র পান (ধার) দিয়ে ধারালো করে নিচ্ছেন। গত বছরের মত এবছর অল্প মুজুরী দিয়ে এসব অস্ত্র তৈরী করে নিচ্ছেন ক্রেতারা। জসিম কর্মকার বলেন, ‘ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ক্রেতার চাপও দিন দিন বাড়ছে। কেউ চাপাতি, কেউ ছোরা, কেউ শাবল বানাতে ভিড় করছেন। কাজের চাপ থাকায় এক প্রকার থাওয়া-দাওয়া ও ঘুম ছেড়ে দিতে হয়েছে। সময়মতো ক্রেতাদের হাতে তাদের অর্ডার দেওয়া পণ্য তুলে দিতে হবে।
কবির কর্মকার বলেন, ‘অনেকেই পুরোনো সরঞ্জাম শান দিয়ে ধার দিতে আসছেন। আর নতুন যেসব বানিয়েছিলাম তা বিক্রি হয়েছে। সারা বছর টুকটাক কাজ করে কোনভাবে সংসার চালিয়ে নিই। তবে এবারের ঈদে বাড়তি কাজ করে অধিক আয় করতে পারবেন এমটাই প্রত্যাশা তার।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo