আওয়ামী লীগ‌কে আইনি, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিকভাবে মোকাবেলার আহ্বান এনসিপি নেতার

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১৯ জুলাই , ২০২৫ ১৩:৫০ আপডেট: ১৯ জুলাই , ২০২৫ ১৩:৫০ পিএম
আওয়ামী লীগ‌কে আইনি, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিকভাবে মোকাবেলার আহ্বান এনসিপি নেতার

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “আওয়ামী লীগ কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের মোকাবেলা করতে হবে আইনি, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিকভাবে।”তিনি বলেন, “মুজিববাদী আদর্শই আওয়ামী লীগের গোড়া। যারা দেশে গুম, খুন করেছে—তাদের আদর্শকে কবর দিয়েই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”রাজবাড়ীতে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বরে অনুষ্ঠিত পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমাদের কেউ পরাজিত করতে পারবে না। আমাদের লক্ষ্য একটি নতুন, বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়া।”তিনি আরও বলেন, “গতকাল যারা আমাদের পদযাত্রায় হামলা চালিয়ে আতঙ্ক ছড়াতে চেয়েছিল, তারা ব্যর্থ হয়েছে। রাজবাড়ীতে আমরা সেই আতঙ্কের দেয়াল ভেঙে ফেলেছি। গোপালগঞ্জে যদি অস্ত্রের ভয় না থাকতো, তবে আরও বড় জমায়েত হতো।”তিনি বলেন, “আমরা সমস্যা খুঁজে বেড়াচ্ছি সারাদেশে। এই পদযাত্রার অন্যতম উদ্দেশ্য জনগণের সমস্যা শুনে সমাধান খুঁজে বের করা।”পথসভায় আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় শহীদ মিনারে জাতীয় সমাবেশের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সেদিন রাজবাড়ী থেকে মানুষ ঢাকায় যাবে।”সভায় আরও বক্তব্য দেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, “গতকাল হামলা করে যারা ভাবছিল আমরা পিছু হটব, তারা ব্যর্থ হয়েছে। ঢাকায় বসে কিছু তথাকথিত মিডিয়া কর্মী এই হামলার বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগের মিডিয়া উইংকেও প্রতিরোধ করতে হবে।”তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ সবসময় প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। তারা মানুষকে পাখির মতো হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।”পথসভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনীম জারা, কেন্দ্রীয় সদস্য সাইয়েদ জামিল প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন এনসিপির উত্তর অঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব আকতার হোসেন, নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।উল্লেখ্য, সভাটি দুপুর ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। সভাকে ঘিরে রাজবাড়ী জেলাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। শহরের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাসহ সভাস্থলে মোতায়েন ছিল পুলিশ, র‍্যাব  সেনাবাহিনী।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo